শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০

এসইও(SEO) এর জন্য ভাল মানের আর্টিকেল কি খুব জরুরী?


 
SEO হচ্ছে যেখানে সাইট টি প্রমট করতে হবে ও শির্ষ স্থানে ধরে রাখতে হবে সেখানে ভাল মানের আর্টিকেল খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এবং হ্যাঁ, মানসম্পন্ন আর্টিকেল কে এসইও এর পূর্বশর্ত বলাহয়। এজন্য বলা হয় “কন্টেন্ট ইজ কিং”

গুগল এর সাথে সম্পৃক্ততা


 

Google কে পাশ কাটিয়ে না গিয়ে সহযোগিতা করা খুব‌ই জরুরী গুগল এর জন্য ওয়েবসাইট প্রস্তুত করতে গুগলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে অথবা ব্ল্যাকহ্যাট এসইও প্রয়োগ করতে হবে। মনে রাখতেহবে, ব্ল্যাকহ্যাট এসইও দীর্ঘস্থায়ী কোন পদ্ধতি না, হতে পারে ব্ল্যাকহ্যাট পদ্ধতিতে খুব দ্রুত যা র‍্যাংক করানো যায় তবে সেটা খুবই অল্প সময়ের জন্য। র‍্যাংক ধরে রাখতে হলে অবশ্য‌ই গুগল এর নিয়ম-নীতি অনুসরন করতে হবে এবং তা হবে স্থায়ী।
 

সবসময় গুগল কে বুঝে ও তার নিয়ম মেনে চলতে হবে

আমরা যখন বলি আমাদের ব্ল্যাকহ্যাট পরিহার করে গুগল এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তার অর্থ শুধু এই নয় যে তা মানলেই হবে গুগল এর দেওয়া নিয়ম গুলিও নিজেদের কাজের মাঝে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। গুগল কিওয়ার্ড বা সার্চকৃত শব্দের হুবহু মিলে যাওয়া রেজাল্ট গুলি প্রদর্শন করে। সার্চ রেজাল্টগুলো অনেক বড় ডাটাবেস থেকে সংগ্রহ করাহয়। খুব সাধারণ ভাবে, পাঠক দের জন্য আর্টিকেল লিখতে হবে যেভাবে তারা চায়, গুগল এর জন্য নয়। তবেই সাইট রাঙ্ক করবে। 

শুধু ভাল মানের লেখা থাকাটাই যথেষ্ট নয়, ভাল মানের লেখাকে জনপ্রিয় ও হতে হবে

 

 

আগেই বলা হয়েছে, খুব ভাল মানের লেখা থাকাটা খুবি গুরুত্ব পূর্ণ। তারপরেও শুধু ইউনিক ও ভাল লেখা থাকাটা যথেষ্ট নয়। অরগানিক পাঠক নাও আশতে পারে। কারণ লেখাটি শুধু পাবলিশ করলেই তো গুগল জানতে পারবে না, আর জানতে পারলেও ভাল বলে গ্রহণ করবেনা।  
 
এই দুরাবস্থা কাটানোর উপায় হল লেখাটিকে জনপ্রিয় হতে দেওয়া। যদি ঐ লেখাটিকে ফেসবুক বা অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করাহয় তবে লেখা টিতে কোন মন্তব্য লেখা হতে পারে বা অন্য কেউ শেয়ার করতে পারে।
 
গুগল এগুলোকে চিহ্নিত করে এবং বিবেচনা করেই পোস্ট টিকে পপুলার হিসাবে ধরে নেয়। তারপরেই অন্য কেউ যখন ঐ ধরনের কোন কিছু খোঁজ করে তখন ঐ লেখাটি রেজাল্টে প্রথমে দেখা যায়। তখন অনেক ভিজিটর পাওয়া যাবে। 

অপ্রয়োজনীয় লেখাগুলি ফেলে দিন


 

পুরাতন লেখা গুলো মুছেফেলা প্রয়োজন। যদি কমপক্ষে ২ বছরের পুরাতন এমন কোন পোস্ট থাকে আর তাতে যদি কোন ভিজিটর না থাকে এবং যদি লিঙ্ক এর সমতা বজায় না থাকে তাহলে তা মুছেফেলাই ভাল। যদি ওগুলো রাখতে চান তবে নো ইনডেক্স হিশাবে রাখতে পারেন। যাতে সাম্প্রতিক লেখা গুলোর সমতা ঠিক থাকে। সেই সব পেজ গুলোই নো ইনডেক্স হিসাবে থাকা উচিৎ যা সার্চ রেজাল্টে কোন মূল্য নেই। অপ্রয়োজনীয় পেজ গুলো নো ইনডেক্স রাখা যেতে পারেপ্রত্যেকেই তাদের লেখা গুলোকে হোম পেজ সহ সার্চ রেজাল্টে রাঙ্ক করাতে চায়। যাইহোক About Me ও Contact Me পেজ গুলোর রাঙ্ক করানোর প্রয়োজন নেই। একইসাথে Terms of Service ও Privacy Policy কে ও রাঙ্ক করানোর প্রয়োজন নেই। লেখাটির শিরোনামে অবশ্যই কিওয়ার্ড থাকতে হবে। 

Keyword দিয়েই Tittle শুরু হোক

 
 

র‍্যাংক উপরে নিতে হলে অবশ্যয় লেখার শিরোনামে কিওয়ার্ড টি থাকতে হবে। কিওয়ার্ড হল টাইটেল অপটিমাইজ এর জন্য পেজের উপাদান গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ। পোস্ট টি ঐ কিওয়ার্ডে যুক্ত আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যা প্রয়োজন!


ফ্রিল্যান্সিং শুরু 
করার  জন্য যা প্রয়োজন!


ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার মুলমন্ত্র হলো মেধা বা দক্ষতা। থাকতে হবে ধৈর্য্য। বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো ইংরেজি না জানা বা কম জানা। গার্টনারের এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের তরুণেরা আউটসোর্সিংয়ে পিছিয়ে থাকার পেছনে ইংরেজি দুর্বলতা দায়ী। আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে ইংরেজি যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি অনেকে বুঝতে চান না। যেহেতু বিদেশী বায়ারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় সে জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা কোনভাবেই আপনি আপনার বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট যেমন বুঝতে পারবেন না তেমনি কোন সমস্যাও তাকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন না।


ইংরেজিতে দূর্বলরা উপরের কথা পড়ে হয়ত ভড়কে যেতে পারেন, তবে তাদের জন্য বলতে পারি যে আপনাকে কিন্তু ইংরেজিতে পন্ডিত হতে হবে এমনটি নয়। ভাব বিনিময় এবং ব্যবসায়িক কাজগুলোর জন্য সাধারণত যে ইংরেজি ব্যবহৃত হয় সেটি জানলেই চলবে। যারা ইংরেজিতে দূর্বল তাদের এটি দূর করতে খুব বেশি যে সময় লাগবে এমনটি নয়, ২ থেকে ৩ মাস একটু চেষ্টা করলেই এ ধরণের ইংরেজি রপ্ত করা সম্ভব।


এছাড়া প্রয়োজনীয়ভাবে সংশ্লিষ্ঠ কাজের পাশাপাশি ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডেডলাইনের দিকে নজর রাখা জরুরী। পারলে ডেডলাইনের আগে ভাগেই কাজটি শেষ করে বায়ারের কাছে জমা দেওয়া ভালো।

এছাড়া ভালো রেটিং পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পরিমাণ কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আর হ্যাঁ, দ্রুত কাজের জন্য অবশ্যই অপেক্ষাকৃত ভালোমানের কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকতে হবে। আর কাজের ধরণ অনুযায়ি স্ক্যানার, ডিজিটাল ক্যামেরা বা অন্য কোনো যন্ত্রেরও প্রয়োজন পড়তে পারে।